অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। রোববার (২ জুন) ভোটগ্রহণ শেষে বুথফেরত জরিপগুলোতে এগিয়ে আছেন দেশটির ক্ষমতাসীন দল মরেনা পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ক্লডিয়া শেনবাউম। তিনি ৫৬ শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বলে আভাস দিয়েছে জরিপগুলো।
সোমবার (৩ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শেনবাউমের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জোসিটল গালভেজ বুথফেরত জরিপের এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি সমর্থকদের আনুষ্ঠানিক ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন। জরিপগুলো বলছে জোসিটল ৩০ শতাংশ ভোট পাবেন।
এবারের নির্বাচনে একমাত্র পুরুষ প্রার্থী জর্জ আলভারেজ মায়েনেজ এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে আশা করা হচ্ছে।
বুথফেরত জরিপের ফলে বলা হচ্ছে, মেক্সিকো সিটির সাবেক মেয়র ক্লডিয়া রবিবারের নির্বাচনে ৫৬ শতাংশ ভোটে জিতেছেন। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ব্যবসায়ী শোচিৎল গালভেজকে পরাজিত করেছেন ৬১ বছরের ক্লডিয়া।
মেক্সিকোর ক্ষমতাসীন দল মোরেনা পার্টি ইতিমধ্যেই নিজেদের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ক্লডিয়া শেইনবাউমের বিজয় দাবি করেছে। যদিও গালভেজ তার সমর্থকদের আনুষ্ঠানিক ফলের অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন। এক্সিট পোলগুলোর তথ্যানুযায়ী, ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বিরোধীদলীয় জোটের প্রার্থী সাবেক সিনেটর গালভেজ।
নির্বাচনে ক্লডিয়ার নারী প্রতিদ্বন্দ্বী শোচিৎল গালভেজ ছাড়াও আরেক পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জর্জ আলভারেজ মায়েনেজ। ভোটে তৃতীয় হয়েছেন তিনি। আজ দিনশেষে ভোটের পূর্ণাঙ্গ ফল ঘোষণা করা হতে পারে।
ক্লডিয়া শেইনবাউম একজন সাবেক বিজ্ঞানী যিনি ২০১৮-২৩ সাল পর্যন্ত মেক্সিকো সিটির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদরের ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী।
তুমুল জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও লোপেজ ওব্রাদর এবার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচনে যাননি। ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হন তিনি। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, ছয় বছরের মেয়াদে একবারই প্রেসিডেন্ট পদে থাকা যাবে।
এদিকে ওব্রাদরের মোরেনা পার্টির সভাপতি মারিও ডেলগাডো দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতে যাওয়া ক্লডিয়ার বিজয়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই বিজয় আমাদের দেশের ইতিহাসে একটি দুর্দান্ত মুহূর্ত।
এদিকে রবিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি দেশটিতে পার্লামেন্ট ভোট, সিটি মেয়রসহ স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটে মেক্সিকোর বিভিন্ন শহরে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
Leave a Reply